খান বাহাদুর ফজলুর রহমান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আজকের সেমিফাইনাল ম্যাচে জমে উঠেছিল এক রোমাঞ্চকর লড়াই। শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়াম আজ দর্শকে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে—উল্লাসে, উত্তেজনায় এবং স্থানীয় ফুটবলপ্রেমীদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত ছিল পুরো মাঠ।
আজ শুক্রবারের খেলায় মুখোমুখি হয় শেরপুর একাদশ ও মধুপুর আদিবাসী একাদশ। শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শেরপুর একাদশ প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়ে ৪–০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় এবং নিশ্চিত করে টুর্নামেন্টের ফাইনাল টিকিট।
আগামীকাল সেমিফাইনাল লড়াই: বগুড়া একাদশ বনাম গোপালপুর একাদশ
টুর্নামেন্টের পরবর্তী ধাপে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচ, যেখানে মুখোমুখি হবে বগুড়া একাদশ ও টাঙ্গাইলের গোপালপুর একাদশ। এই ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনালে শেরপুর একাদশের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে নামবে।
সমাজসেবী রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার প্রেরণামূলক উপস্থিতি
আজকের খেলায় মাঠে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়ানুরাগী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া। তাঁর উপস্থিতিতে খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যায় উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার জোয়ার। খেলাশেষে তিনি বলেন—
“যুবসমাজকে ক্রীড়ার মাধ্যমে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও ইতিবাচকভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই টুর্নামেন্ট আমাদের তরুণদের প্রতিভা বিকাশের এক দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে।”
রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার এমন উৎসাহব্যঞ্জক ভূমিকা টুর্নামেন্টের আবহকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
শেরপুর একাদশের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
শেরপুর একাদশের খেলোয়াড়রা ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রাখে। ধারাবাহিক আক্রমণে প্রথমার্ধেই দুটি গোল করে দলটি এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল যোগ করে ম্যাচটি করে তোলে একপেশে।
দর্শকরা খেলোয়াড়দের চমৎকার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন।
শেষ কথা
টুর্নামেন্টের ফাইনাল ঘিরে এখন শেরপুরজুড়ে উত্তেজনা ও উৎসবের আমেজ।
খেলাপ্রেমীরা আশা করছেন, রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার মতো সমাজের প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্বদের পাশে নিয়ে স্থানীয় ফুটবল আরও এগিয়ে যাবে নতুন সাফল্যের পথে।
Leave a Reply